"ইহুদিদের ব্যতিক্রমধর্মী বেশকিছু নৈতিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন : কঠোর শারীরিক শ্রমের প্রতি অনীহা, সন্তান উৎপাদনে অধিক আগ্রহী, তীব্র ধর্মীয় প্রেরণা, দৃঢ় পারিবারিক বন্ধন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টিকে থাকার অসাধারণ ক্ষমতা, সমবেত উপায়ে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার সক্ষমতা, যুদ্ধের মাঠে জীবন দেওয়ার অসীম সহাসিকতার অধিকারী, ব্যক্তিগত ও সামাজিক উভয় উপায়ে শোষণধর্মী মানসিকতা, অর্থনৈতিক বিষয়ে নিজেদের ফটকা পরিকল্পনাসমূহ অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা, প্রাচ্যের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা, সামাজিক প্রতিপত্তি নিয়ে অন্যদের ওপর অহংকার প্রদর্শন এবং সাধারণের চেয়ে উচ্চতর মেধাশক্তির অধিকারী হওয়া। The New International"


ইহুদিদের আবির্ভাব মানব ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাদের নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল কোনো যুগেই কম ছিল না। আজকের আধুনিক বিশ্ব যেসব খুঁটির (অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি) ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে, তার প্রতিটির পেছনেই রয়েছে ইহুদিদের অদৃশ্য আধিপত্য। জেরুজালেম থেকে নির্বাসিত হয়ে এক টুকরো নিরাপদ ভূমির খোঁজে তারা পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছে যাযাবরের মতো।

পেরিয়ে গেছে প্রায় ২০০০ বছর। নির্যাতন-নিপীড়ন এখন তাদের জন্য নতুন কোনো অভিজ্ঞতা নয়। এ নির্যাতন ভোগের পেছনে তাদের প্রতি যে অন্যান্য সম্প্রদায়দের অ্যান্টিসেমেটিক মনোভাব ছিল, তা বলা যায় না। কারণ, নিজেদের স্বার্থ ও উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তারা আজ পর্যন্ত যত কৌশল উদ্ভাবন করেছে, তার অধিকাংশই সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধুসুলভ ছিল না। পৃথক জাতীয়তাবাদ নীতি ও অসাধু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের দরুন তারা বারংবার বিতর্কিত জাতিতে পরিণত হয়েছে।

রাশিয়ায় ইহুদিরাই ছিল বলশেভিক বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু। সেখানে তারা জবাই করেছে লাখো তাজা প্রাণ। সেই বিপ্লবের যারা খলনায়ক, তারাই আজ আমাদের চোখে মহানায়ক। জার্মান সাম্রাজ্য পতনের পেছনেও তারা সবচেয়ে বড়ো প্রভাবক ছিল। তারা বিষাক্ত অণুজীব হয়ে সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে। এক এক করে দখল করে সেখানকার প্রতিটি শিল্প ও ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। বিশ্বজুড়ে ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে তারা ইংল্যান্ডকে বানিয়েছে হাতের পুতুল। স্বর্ণ-রৌপ্যের মতো মহা মূল্যবান সম্পদ চুরি করে নিজেদের প্রাচুর্যতাকে করেছে পাহাড়সম। বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীকে রক্তক্ষয়ী অন্তঃকোন্দলে জড়িয়ে হাসিল করেছে নিজেদের ভূ- রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। প্রবীণ ও তরুণ ইহুদিরা নিজেদের প্রাচুর্যতা ও উচ্চাভিলাসী মনোভাব কাজে লাগিয়ে আমেরিকাকে একটি যুদ্ধবাজ দেশে পরিণত করেছে, যা আজ তাদের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য হাসিলের সবচেয়ে বড়ো হাতিয়ার। যেকোনো সরকারের শাসনামলে তাদের জন্য একটি সুবিধাজনক পদ বিশেষভাবে বরাদ্দ রাখা হয়। হোয়াইট হাউজেও রয়েছে তাদের অবাধ

**(১. অ্যান্টি-সেমেটিক ইহুদি বিদ্বেষী মনোভাব

২. বলশেভিক বিপ্লব- বিংশ শতাব্দীর শুরুতে, ভ্লাদিমির লেনিনের নেতৃত্বে এই বিপ্লবের সূচনা হয়, যার হাত ধরে কমিউনিস্ট সোভিয়েতের জন্ম হয়।)


প্রবেশাধিকার। আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে বিষাক্ত মতবাদ ঢুকিয়ে দিতে ইহুদি রাবাইদের যেন পরিশ্রমের শেষ নেই। তারা বলে- 'আশীর্বাদ চাইলে ইজরাইল যাও। কারণ, আমরাই সৃষ্টিকর্তার একমাত্র মনোনীত সম্প্রদায়।

জনসংখ্যায় এত অল্প হয়েও তারা যেভাবে নিজেদের ক্ষমতা ও আধিপত্য বিস্তার করেছে, তা ইতঃপূর্বে অন্য কোনো জাতি পারেনি। পুরোনো ছেঁড়া কাপড় সংগ্রহ করে তা বিক্রি করা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থনীতির সবকিছু আজ তারা এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। শিল্প- প্রতিষ্ঠানের অধিক পরিশ্রমী পদে কাজ করার ব্যাপারে তাদের রয়েছে তীব্র অনীহা। উৎপাদন ও যন্ত্রপাতি পরিচালনার মতো ঝুঁকিপূর্ণ পদগুলোতে সাধারণত জ্যান্টাইলদের ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে সেলসম্যান, ম্যানেজার এবং ক্লার্কের মতো সহজ পদগুলো তাদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। প্রাচীন প্রুশিয়ানদের এক সমীক্ষা অনুযায়ী তাদের মোট জনসংখ্যা ছিল ২৬৯৪০০ জন। এর মাত্র ছয় শতাংশ অর্থাৎ ১৬১৬৪ জন ছিল ইহুদি, যার মধ্যে ১২০০০ জনই ছিল ব্যবসায়ী এবং ৪১৬৪ জন শ্রমিক। অন্যদিকে ৯৬ শতাংশ জ্যান্টাইল অর্থাৎ ২৫৩২৩৬ জনের মধ্যে মাত্র ১৭০০০ জন ব্যবসায়ী।

বর্তমান প্রেক্ষাপট অবশ্য ইতিহাস থেকে অনেক ভিন্ন। ব্যাবসা-বাণিজ্যের উঁচু পদগুলোতে আজ জ্যান্টাইলদের উপস্থিতি পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তাদের সংখ্যা যে হ্রাস পেয়েছে তা নয়; Jews Encyclopedia অনুযায়ী- বর্তমানে বিশ্বের বৃহদাকার প্রায় সকল বিপণিবিতান তারাই পরিচালনা করছে। ট্রাস্ট, ব্যাংক, কৃষি ও খনিজ সম্পদের মতো আরও অনেক শিল্প রয়েছে, যা তাদের কবজাধীন হয়ে পড়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান এখনও জ্যান্টাইলদের মালিকানায় রয়েছে, তার পেছনেও ইহুদিদের বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী কাজ করছে। প্রকাশনী শিল্পে তারা কতটা ক্ষমতাধর, তা সামনের অধ্যায়গুলোতে আলোচনা করা হবে। থিয়েটার, চলচ্চিত্র ও সংগীত জগতে তাদের দ্বিতীয় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।

জার্মান লেখক Werner Sombart তার বই Jews and Modern Capitalism & উল্লেখ করেন-

"যদি আমেরিকার অভিবাসন হার প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর জন্মহার এবং উন্নয়নসূচক একই ধারায় চলতে থাকে, তবে আগামী পঞ্চাশ বা একশো বছর পর এ দেশ হবে নিগ্রো, ক্রিতদাস ও ইহুদিদের দেশ; যেখানে তারাই হবে ক্ষমতাধর জনগোষ্ঠী।'

আলোচনার গভীরে যাওয়ার আগে দুটি বিষয়ে পরিষ্কার জ্ঞান রাখা উচিত।

**(৩. রাবাই ইহুদিদের ধর্মীয় গুরু।

৪. জ্যান্টাইল-ইহুদি নন পৃথিবীর সকল সম্প্রদায়কে জ্যান্টাইল বলা হয়।

*. প্রুশিয়ান-প্রাচীন এক ইউরোপিয়ান রাষ্ট্র, যা জার্মানিসহ কয়েকটি দেশের সাথে মিশে গেছে।)

প্রথমত : পৃথিবীর সব ইহুদিই সম্পদশালী নয়; তাদের মাঝেও ধনী-গরিব শ্রেণি আছে। তবে গরিব শ্রেণির দরিদ্র্যতার মূল কারণ- তাদের সম্পদশালী জ্ঞাতি ভাইয়েরা। মূলত কৌশলগত কারণেই তারা নিজেদের মাঝে এই শ্রেণি-পার্থক্যের জন্ম দিয়েছে।

দ্বিতীয়ত : শত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তারা নিজেদের ঐক্য ও জাতীয়তায় বিভাজন তৈরি

করেনি। ফলে কৃতিত্ব ও সফলতা অর্জনের দিক দিয়ে অন্য কোনো সম্প্রদায় কখনোই তাদের সমকক্ষ হতে পারেনি। আজকের আমেরিকা তো তারাই তৈরি করেছে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে ঔপনিবেশিক শাসন ও ক্ষমতার লড়াই নিয়ে পুরো পৃথিবী যখন ক্ষত-বিক্ষত, তখন অসংখ্য মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে আমেরিকায় অভিবাসী হয়। আর এই সুযোগ লুফে নিয়ে ইহুদিরাও দলে দলে আমেরিকায় প্রবেশ করা শুরু করে। অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর যেখানে একমাত্র অবলম্বন ছিল মেধা ও পরিশ্রম, সেখানে তাদের অবলম্বন অঢেল অর্থ-সম্পদ। তারা জন্ম দেয় পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার। শুরু হয় শ্রমবাজারের সাথে পুঁজিবাজারের দ্বন্দ্ব। নামমাত্র পারিশ্রমিকের বিনিময়ে পুঁজিপতিরা কিনে নিতে থাকে সাধারণ মানুষের মেধা ও শ্রম।

একটা সময় ছিল- যখন তারা শুধু কৃষি কাজ করত। রোমান সম্রাট কর্তৃক জেরুজালেম থেকে নির্বাসিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এটাই ছিল তাদের মূল পেশা। তাহলে কীভাবে তাদের আমূল পরিবর্তন হলো, আর কীভাবেই বা উত্থান ঘট

আসলে Formative Period (1000 BC - 500 AD)-এর বিশেষ একটি শাসনব্যবস্থা তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অর্থনৈতিক কাঠামো ন্যায়সংগত করতে পয়গম্বর মোজেস' 'Money aristocracy' আইনটির প্রচলন করেন। সুদ-বাণিজ্য এবং ঋণী ব্যক্তির জমি দখল করাকে তিনি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেন। তার আইনে চিরস্থায়ী আয়েশি জীবনের কোনো স্থান ছিল না। তিনি দখলদারদের হাত থেকে আত্মসাৎ হওয়া সকল জমি উদ্ধার করে জনসাধারণের মাঝে বণ্টন করেন। এ আইন ৫০ বছর স্থায়ী ছিল; যাকে বলা হয় 'The Year of Jubilee |

কিন্তু এমন আইন মেনে চললে তো আর রাজকীয় সম্পদের মালিক হওয়া যাবে না। তাই মোজেস মারা যাওয়ার কিছুদিন পর তারা আবারও সুদ-বাণিজ্যে ফিরে আসে। মূলত, মুনাফার প্রশ্নে তারা কখনো আপস করতে রাজি ছিল না। তাই মোজেসের যেসব আইন অধিক মুনাফা অর্জনে প্রতিবন্ধক, সেগুলোর প্রতিটি তারা পালটে দেয়। 'Law of Stranger' নামে তারা নতুন একটি আইন তৈরি করে। এ আইন অনুযায়ী অন্যান্য সম্প্রদায়দের সাথে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে তাদের বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হতো। যেমন : একজন অপরিচিত জ্যান্টাইলের সাথে সুদ-বাণিজ্য করা যাবে, কিন্তু নিজ ধর্মের ভাইয়ের ওপর কখনোই সুদের বোঝা চাপানো যাবে না।

**(৬. মোজেস নবি মুসা (আ.))

ইতিহাস বলে, ইজরাইল সব সময় একটি শাষকরাষ্ট্র হতে চেয়েছে। তারা চেয়েছে, পৃথিবীর প্রতিটি রাজ্য তাদের কুর্নিশ করবে এবং তারাই হবে সকল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না! জ্যাকব' থেকে শুরু করে সকল পয়গম্বর চেয়েছিলেন- ইজরাইল পৃথিবীর বুকে একটি ন্যায়পরায়ণ জাতি হিসেবে টিকে থাকবে। ওল্ড টেস্টামেন্টও ঠিক একই কথা বলে। তাহলে কেন তাদের এই অধঃপতন। তা কীভাবেই-বা ঘটল? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ফিরে যেতে হবে ক্যানানাইটদের' যুগে।

আজ থেকে আনুমানিক ৩৯০০/৪০০০ বছর পূর্বে ইজরাইল, লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান নীলনদের পূর্বাঞ্চলীয় অনেকটা অংশ জুড়ে ছিল ক্যানানাইটদের রাজত্ব। সে সময় পয়গম্বর আব্রাহামকে মেসোপটেমিয়ার কোনো এক স্থানে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়। সৃষ্টিকর্তা তাকে সেই আগুন থেকে রক্ষা করে ক্যানান ভূমিতে নিয়ে আসেন। আব্রাহাম যখন মেসোপটেমিয়ায় ছিলেন, তখনই সৃষ্টিকর্তা তাঁর সাথে একটি সন্ধি করেন। বলা যেতে পারে এটা ইজরাইল জাতির মূল সূচনালগ্ন। আব্রামের নিরানব্বই বছর বয়সে প্রভু তাকে দেখা দিলেন এবং বললেন-

'আমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, তুমি আমার সাথে গমন করে পরিশুদ্ধ হও। আমি তোমার সাথে। আপন নিয়ম স্থির করব এবং তোমার বংশকে অতিশয় বৃদ্ধি করব।

আব্রাম তখন ভূমিষ্ট হয়ে পড়েন। ঈশ্বর বললেন-

'দেখ, আমি তোমার সাথে এই সন্ধি করছি, তুমি হবে বহু জাতির পিতা। তোমার নাম আর আব্রাম (মহাপিতা) থাকবে না; বরং হবে আব্রাহাম (বহুলোকের পিতা)। কারণ, তোমাকে বহু জাতির পিতা বানালাম। ...এই সমগ্র ক্যানান দেশকে আমি তোমাকে এবং তোমার ভাবী বংশধরদের চিরস্থায়ী অধিকারার্থে প্রদান করব, আর আমি হব তাদের ঈশ্বর। Genesis

17:1-8

তারও অনেক আগে- সৃষ্টিকর্তা ঠিক এ রকমই একটি সন্ধি করেছিলেন পয়গম্বর নোয়াহের সাথে। পার্থক্য হলো- পয়গম্বর আব্রাহামের বংশধরদের যেখানে ক্যানানাইট ভূমির অধিকার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে পয়গম্বর নোয়াহের বংশধরদের সমগ্র বিশ্বের কর্তৃত্ব প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

ক্যানানাইটরা হলো নোয়াহের কনিষ্ঠ পুত্র হ্যামের বংশধর। নোয়াহ সৃষ্টিকর্তার সাথে সন্ধি করেছিলেন- তার বংশধররা কেবল তারই উপাসনা করবে এবং তার প্রণীত সকল আইনকানুন মেনে চলবে। কিন্তু সেই সন্তানেরা একসময় একেশ্বারবাদের কথা ভুলে গিয়ে পৌত্তলিকতায় মেতে

(৭. জ্যাকব- নবি ইয়াকুব (আ.)

*. ক্যানাইটদের- বাইবেলে উল্লিখিত এক অভিশপ্ত জাতি।

১. আব্রাহাম- পয়গম্বর ইবরাহিম (আ.)

১০. নোয়াহ- পয়গম্বর নুহ (আ.)

ওঠে। তারা ঈশ্বরের আইন অগ্রাহ্য করে নিজেদের মতো আইন রচনা এবং বিভিন্ন ভাস্কর্যের উপাসনা করতে শুরু করে। যেমন : আনাথ- যুদ্ধ-বিগ্রহের কুমারী দেবী, আখিরাত- সমুদ্র পরিভ্রমণকারী, আত্তার প্রভাতের দেবতা ইত্যাদি। তাদের এই পেগানবাদ ততদিনে ক্যানানসহ অনেক স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়াও আরও অনেক পাপকর্মের দরুন তারা একসময় সৃষ্টিকর্তার অভিশপ্ত জাতিতে পরিণত হয় ।

অপরদিকে পয়গম্বর আব্রাহামের বংশধরদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তাঁর পৌত্র জ্যাকবের অপর নাম ইসরাইল। এই নাম অনুযায়ী তাঁর ১২ পুত্র এবং তাদের বংশধরদের একত্রে বনি ইসরাইল বলা হয়। সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ফেরাউনের রাজত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে জেরুজালেমে ফিরে আসার পর তাদের নিকট ঐশী বাণী আসে, তারা যেন ক্যানানাইটদের সেখান থেকে বের করে দেয়।

কিন্তু তারা এই নির্দেশ অমান্য করে। তারা এই অভিশপ্ত জাতির সম্পদ ও প্রাচুর্যের মোহে পড়ে যায়। এমন একটি জাতিকে নির্বাসিত করে তারা সম্পদের মহাসমুদ্র হাতছাড়া করতে চায়নি। অবাধ্যতার সূচনা এখান থেকে শুরু। ধীরে ধীরে তারা ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে বস্তুবাদী বিশ্বাসে আগ্রহী হয়ে ওঠে। কিন্তু স্বর্গীয় নির্দেশ অমান্য করার দরুন তাদের ওপর যে শাস্তি নেমে আসে, তা বহুকাল বয়ে বেড়াতে হয়। অনেকের ধারণা- এই ক্যানানাইটরাই আজকের ইহুদিদের সকল ক্ষমতা ও প্রাচুর্যতার মূল কারণ।

যাযাবর হলেও ব্যবসায়-বাণিজ্যের অগ্রদূত হিসেবে তারা যে পুরো পৃথিবী চষে বেড়িয়েছে, তার কিছু নমুনা দেওয়া যাক। একসময় চায়নাতে তাদের একটি জনগোষ্ঠী ছিল। সেক্সনদের ১২ সময় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তারা দলবলে ইংল্যান্ডে হাজির হয়। পিলগ্রিম ফাদাররা দক্ষিণ আমরিকার প্রেমাউথ শিলায় আসার শত বছর আগ থেকে তাদের বণিকরা সেখানে রমরমা বাণিজ্য করত। ১৪৯২ সালে সেন্ট থমাস দ্বীপে তারা প্রথম চিনি কারখানা গড়ে তোলে। ব্রাজিলেও ছিল তাদের আফিম বাণিজ্য। তারা যে পৃথিবীর কোথাও চষে বেড়ানোর বাকি রাখেনি, তা ছোট্ট একটি উদাহরণের মাধ্যমে বোঝা সম্ভব; জর্জিয়াতে প্রথম যে সাদা বর্ণের শিশুটি জন্ম নেয়, সেও ছিল একজন ইহুদি- Isaac Minis

ব্যবসায়-বাণিজ্যে নিত্যনতুন কৌশল এবং উপকরণ উদ্ভাবনের প্রতিভা সব যুগেই তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতার শীর্ষে থাকতে সাহায্য করেছে। আজকের দিনেও ব্যবসায়িক লেনদেনে এমন অনেক জিনিসের ব্যবহার হচ্ছে, যার প্রকৃত আবিষ্কারক তাদের-ই কোনো না কোনো সদস্য।

**(১১. পেগান-ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম ধর্ম ব্যতীত সব ধর্মকে পেগান বলা হয় এ ছাড়াও যারা মূর্তি ও প্রকৃতির

উপাসনাকারী, তাদেরকেও এ নামে সংজ্ঞায়িত করা হয়। ১২

. সেক্সন-ইউরোপিয়ান এক প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী, যারা আজ বিভিন্ন জাতিতে ছড়িয়ে পরেছে।

১৩. পিলগ্রিম ফাদার-ইংল্যান্ডের ঔপনিবেশিক শাসনকালে প্রথমে যে ইংলিশ নাগরিকগণ আমেরিকায় বসতি স্থাপন করে, তাদের পিলগ্রিম ফাদার বলা হয়।)

যেমনঃ পৃথিবীর প্রাচীনতম বিল অব এক্সচেইঞ্জের আবিষ্কারক হলো - Simon Rubens। তা ছাড়া কাগজের নোট, ব্যাংক নোট, বিভাগীয় বিপণিবিতান, দ্বৈত্ব করব্যবস্থা ইত্যাদি তাদেরই আবিষ্কার।

* Payable to Bearer ( বাহককে প্রদেয়)' নিয়ে মজার একটি গল্প আছে। সাধারণত ধনী ব্যবসায়ীদের শত্রুর অভাব হয় না। এ কারণে ইহুদিদের শত্রুর অভাব ছিল না। কেউ যেন তাদের সম্পদ ছিনিয়ে নিতে না পারে, সে জন্য তারা সম্পদের পরিমাণ বা মালিকানা কখনো প্রকাশ করত না; বরং একজন বাহক-এর নামে এর মালিকানা গোপন রাখত। সে সময় তাদের সম্পদ জব্দ করা জলদস্যুদের জন্য বৈধ ছিল। তারা পণ্যের ওপর নিজেদের নাম না লিখে 'Bearer bill' ব্যবহার করত। তাই বোঝার কোনো উপায় থাকত না, কোনটা তাদের পণ্য আর কোনটা জ্যান্টাইলদের। তখন ব্যবসায়িক লেনদেনে ব্যক্তি-বিশেষকে জামানত হিসেবে ব্যবহার করা হতো, কিন্তু ব্যক্তিকেন্দ্রিক বাণিজ্যের চেয়ে পণ্যকেন্দ্রিক বাণিজ্যকে তারা অধিক গুরুত্ব নিত। কারণ, অর্থ পরিশোধের পূর্বে যদি ক্রেতা সাহেবের মৃত্যু হয়, তবে বিক্রেতা কখনো সে অর্থ দাবি করতে পারবে না, কিন্তু পণ্যকেন্দ্রিক বাণিজ্যে ক্রেতা সাহেব মারা গেলেও বিক্রেতা অন্তত তার পণ্য দাবি করতে পারবে। নতুন এই পদ্ধতি ব্যবসায় জগৎকে অনেক নির্দয় করে তোলে। কারণ, তখন মানুষ ব্যক্তি- বিশেষের চেয়ে পণ্য-সম্পদ রক্ষায় অতি ব্যস্ত হয়ে পড়ল।

আজকের যে পুঁজিবাদ অর্থব্যবস্থা, তার জন্মদাতা তো তারাই! তবে নিজেদের এ কীর্তি গোপন রাখতে 'জ্যান্টাইল ফ্রন্ট' নামে তারা নতুন এক কৌশল উদ্ভাবন করে। অর্থাৎ মুখোশ হিসেবে জ্যান্টাইলদের ব্যবহার করে, যেন ভেতরের মানুষটাকে কেউ চিনতে না পারে। এ জন্য বিপণিবিতান, ব্যাংকিং কোম্পানি, সংগীতের দোকান, থিয়েটার হল ও মদের দোকানগুলোতে নিয়োজিত কর্মীদের অধিকাংশই খ্রিষ্টান, মুসলিম বা পেগানদের মধ্য থেকে হয়ে থাকে। কিন্তু পেছন থেকে যে এগুলোর কলকাঠি কোনো ইহুদি বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী নাড়ছে, তা অনেকের পক্ষেই বোঝা অসম্ভব।

যে স্টক একচেঞ্জ শিল্পকে কেন্দ্র করে আজ প্রতিটি দেশ বড়ো বড়ো পুঁজিবাজার গড়ে তুলছে, তাও তাদের প্রতিভার আরেকটি বহিঃপ্রকাশ। বার্লিন, প্যারিস, লন্ডন, ফ্রাঙ্কফ্রুট ও হাম্বার্গারের প্রথম সব স্টক এক্সচেঞ্চের নিয়ন্ত্রকগোষ্ঠী তারাই। ভেনিস ও জেনওয়াককে তো বলাই হতো ইহুদিদের শহর। আধুনিক ব্যাংকিং শিল্পের প্রথম ভিত্তি প্রস্তর সেখানেই গড়ে ওঠে। তা ছাড়া ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ব্যাংক অব আমস্টারডাম, ব্যাংক অব হাম্বার্গ, ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম ইত্যাদি তাদেরই পরিকল্পনায় গড়ে উঠে, যা আজও টিকে আছে।

তারা পৃথিবীর যেখানে গিয়েছে, সেখানেই পুরো অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। একসময় স্পেন ছিল স্বর্ণ বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু। তাদের বের করে দিলে স্পেনের অর্থনীতি এমনভাবে ভেঙে পড়ে, যা আজও পুনরূদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ইউরোপের অর্থনৈতিক ইতিহাস বিভাগের ছাত্ররা প্রায়ই একটা বিষয় ভেবে খুব অবাক হয়- বিশ্ব বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু কেন বারবার পরিবর্তিত হয়েছে?

জ্যান্টাইলদের রক্ত যেন ইহুদিদের মাঝে প্রবেশ করতে না পারে, তাই বিয়ে-শাদির ব্যাপারে তাদের রয়েছে বিশেষ আইন। মধ্যযুগীয় বিভিন্ন দলিল থেকে জানা যায় তাদের সংগ্রহে এমন অনেক তথ্য থাকত, যা তৎকালীন রাজা-বাদশাহদের কাছেও থাকত না। দূরদর্শী ক্ষমতার দিক দিয়ে তাদের সমতুল্য পৃথিবীতে আর কোনো জাতি ছিল না। ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে পৃথিবীর বিভিন্ন রাজ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা তারা পূর্বেই অনুমান করতে পারত। পরবর্তী সময়ে তা নিউজ লেটার আকারে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রেরণ করত। রাজ্য পরিচালনায় আগাম তথ্য যে কতটা মূল্যবান, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। তাই এই অমূল্য তথ্যের প্রধান জোগানদাতা হিসেবে তারা সব সময়-ই কাজ করত; তা গুপ্তচর বৃত্তি করে হোক বা অন্য যেকোনো উপায়ে-ই হোক। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক ব্যক্তিদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা ছিল তাদের আরেকটি কৌশল।

এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে তারা প্রতিটি রাষ্ট্রে ঋণ ব্যবস্থার এজেন্ট বনে যায়। গড়ে তোলে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক। প্রতিটি রাষ্ট্রে তাদের কিছু এজেন্ট থাকত, যারা সেখানকার আর্থিক লেনদেনের হিসাব রাখত। প্রয়োজনে বিভিন্ন রাষ্ট্রকে বড়ো অঙ্কের ঋণ দেওয়ার এখতিয়ার পর্যন্ত তাদের ছিল। তাদের বলা হতো ' Court Jew"। পরে এই ঋণ প্রতিটি রাজা-বাদশার ওপর বিশাল অঙ্কের দায় হিসেবে চেপে বসত। তারা কখনো রাশিয়ান জনগণকে নিয়ে ভাবত না; বরং ভারত কীভাবে রাশিয়ার সরকারকে কবজায় আনা যায়। একই পরিকল্পনা করত জার্মানি, ফ্রান্স ও ইটালিসহ পৃথিবীর প্রতিটি রাষ্ট্রকে নিয়ে। খুব কৌশলে তারা এক রাজাকে অন্য রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লেলিয়ে দিত। ভয় ও কুসংস্কারের জাঁতাকলে কাবু করে রাখত প্রতিটি জাতিকে।

তবে এটা ঠিক যে, ব্যক্তি হিসেবে কিছু সৎ ও পরোপকারী ইহুদি সব যুগেই খুঁজে পাওয়া যাবে। শান্তির বাণী প্রচার করাই যে ইজরাইলের একমাত্র উদ্দেশ্য, এমন চেতনা কেবল তারাই লালন করে। তারপরও জাতিগতভাবে তাদের ওপর সাধারণ মানুষের যে বিদ্বেষ, তা কখনো বন্ধ হয়নি। তাদের নিয়ে একটি প্রবাদ আছে-

‘ইজরাইল অনেকটা আঙুর গাছের মতো; তার শাখা-প্রশাখা যতই কাটা হোক না কেন, তা আবারও গজাবে। কারণ, তার শেকড় রয়েছে মাটির অনেক গভীরে।'

আজকের যে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক, তার সূত্রপাত হয়েছিল অষ্টাদশ শতাব্দীতে। জার্মান ইহুদি পরিবার রথসচাইল্ড হলো এই শিল্পের কান্ডারি। ইংল্যান্ড, ইটালি, ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়াসহ আরও অনেক দেশে তাদের শাখা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। যখনই কোনো রাজার অর্থের প্রয়োজন হতো, তারা এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সরবরাহ করত। আবার যদি কোনো রাজা মূল্যবান সম্পদ (স্বর্ণ, রৌপ্য, কপার ইত্যাদি) ব্যবহার না করে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে চাইত, তবে ব্যাংকারগণ চেকের মতো ছোট্ট একটি কাগজের টুকরো স্বাক্ষর করে সেই দেশের শাখায় পাঠিয়ে দিত। এই কাগজের টুকরো আজকের দিনে ব্যাংক চেক-এ রূপ নিয়েছে। আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম যে সামরিক বাহিনী গঠিত হয়, তাতেও ছিল ইহুদিদের মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ।

বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক অফিস স্থাপনের ধারণা সর্বপ্রথম তাদের মাথা থেকেই উদ্ভাবিত হয়। ফলে ইউরোপের দেশগুলোতে যখন নতুন কোনো সুযোগ বা সম্ভাবনা দেখা দিত, প্রথম তারাই সে খবর পেত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর 'Peaceful Penetration' নামে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার দরুন আমেরিকার বাজার জার্মানদের জন্য উন্মুক্ত হয়। এতে করে সে দেশের সাধারণ জনগণ লাভবান হয়েছে তা নয়। কারণ, পুরো ঘটনার আড়ালে ছিল সেখানকার ইহুদিরা। তারা জার্মানির নাগরিকত্বকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আমেরিকায় প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে। সিন্ডিকেট উপায়ে প্রতিটি শিল্পের ওপর থাবা বসাতে শুরু করে। ফলে অনেক ব্যবসায়ী নিরূপায় হয়ে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়।

বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে আমেরিকা জার্মানি হতে প্রচুর তুলা আমদানি করে। আরও অনেক ভুলা রপ্তানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল, কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর তা আর রপ্তানি করা সম্ভব হয়নি। মালিক সমিতি এত তুলা নিয়ে কী করবে? সব তো নষ্ট হয়ে যাবে! ফলে তারা বাধ্য হয় তুলা নিলামে ওঠাতে। এ সময় লন্ডনে থাকা ইহুদিরা সেই পাহাড় পরিমাণ তুলা নিলামের ভিত্তিতে কিনে নেয়। তারা যে মূল্যে তুলা ক্রয় করে, তা ছিল আমেরিকান বাজারমূল্য থেকে অনেক কম। এর উদ্দেশ্য ছিল বাজারে তুলার দাম কমিয়ে আনা। ফলাফল তাই হলো; রাতারাতি তুলার দাম কমতে শুরু করে। এই সুযোগে তারা আরও অনেক তুলা কিনে বাজারকে তুলাশূন্য করে। বাজার খালি হওয়ার পর তারাই আবার তুলার দাম বাড়াতে শুরু করে। কারণ, বাজারে তুলার ছিটেফোঁটা পর্যন্ত ছিল না। তারা প্রচার করে বাজারে তুলার খুবই অভাব, তাই তুলাজাত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

এভাবে বিশ্বযুদ্ধে তারা প্রচুর সম্পদের মালিক হয়ে যায়।

বিশ্ব অর্থব্যবস্থার বর্তমান প্রেক্ষাপট কতটা কঠিন রূপ নিয়েছে, তা সহজে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। নির্ণয় পুঁজিবাজার কখনো শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে পারেনি। শ্রমিকদের শোষণের মাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলগুলো সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। পুঁজিকে কুক্ষিগত করে স্বার্থান্বেষী মহল কুলি-মজুরদের পারিশ্রমিক পানির দরে নামিয়ে এনেছে। পুঁজিবাজার হলো শ্রমবাজারের ছাদস্বরূপ, কিন্তু এই ছাদ কখনো শ্রমজীবী মানুষের নিরাপদ আশ্রয় হতে পারেনি।

চলবে....