আজ বিশ্বের অনেক দেশে বড়দিন বা ক্রিসমাস উৎসব পালন করা হচ্ছে। এই উৎসবে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন হিসেবে মানা হয়। যিশু খ্রিস্ট খ্রিস্ট ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা এবং ঈশ্বরের পুত্র বলা হয়। তিনি মানুষের পাপ মুছে দেওয়ার জন্য ক্রুশে মৃত্যু পেয়েছিলেন এবং তিন দিন পর পুনরুত্থান করেছিলেন।

বড়দিনের উৎসবের ইতিহাস খুবই পুরনো। প্রথম বড়দিন পালন করা হয়েছিল ৩০৬ সালে। তবে যিশুর প্রকৃত জন্মতারিখ জানা যায় নি। কিছু স্কলারস মনে করেন, এই তারিখটি পুরাতন রোমান উৎসব সাতুর্নালিয়ার সাথে মিলিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বড়দিনের উৎসবে বিভিন্ন প্রথা ও রীতি অনুসরণ করা হয়। যেমন, বড়দিনের গান গাওয়া, উপহার দেওয়া এবং পাওয়া, গির্জায় প্রার্থনা করা, বড়দিনের কার্ড বিনিময় করা, বড়দিনের বৃক্ষ সাজানো, আলোকসজ্জা করা, সান্টা ক্লজের কাহিনী শোনা এবং তাঁর কাছ থেকে উপহার আশা করা ইত্যাদি।

সান্টা ক্লজ হলো পাশ্চাত্য সংস্কৃতির একটি কিংবদন্তি চরিত্র, যে ভাল ছেলেমেয়েদের উপহার দেয়। তার উৎপত্তি সেন্ট নিকোলাস নামে এক বিশপের জীবন থেকে শুরু হয়, যে গরীব লোকদের সাহায্য করতেন।

ইসলামিক মত অনুসারে, সান্টা ক্লজ বা খ্রিষ্টমাস পালন করা যায় না। কারণ, ইসলামে যীশু খ্রিস্টকে ঈশ্বরের পুত্র বলা হয় না, তাকে মাত্র একজন নবী হিসেবে মানা হয়। ইসলামে ঈশ্বরের কোনো সহচর বা সন্তান নেই। এছাড়া, ইসলামে কোনো অন্য ধর্মের উৎসব পালন করা হারাম বলা হয়।

বড়দিন একটি আনন্দময় ও শুভেচ্ছাময় উৎসব। এই উৎসবে মানুষ পরস্পরের সাথে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং সম্মান শেয়ার করে। এই উৎসবে মানুষ ঈশ্বরের কৃপা ও আশীর্বাদ চায়। এই উৎসবে মানুষ যিশুর শিক্ষা অনুসরণ করে এবং তাঁর জন্য ধন্যবাদ জানায়।

আমি আশা করি আপনি এবং আপনার পরিবার এবং বন্ধুরা এই বড়দিনে আনন্দ ও শান্তি উপভোগ করবেন। আমি আপনাকে একটি শুভ বড়দিন ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই। 🎄🎁🎅