প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-->-->-->-->-->-->-->-->-->-->-->-->

ডোনাল্ড ট্রাম্প ঠিকিই বুঝেছিলেন যে নারীদের গর্ভপাত একটা জাতীর অস্তিত্বের জন্য হুমকি। তাই তো তার গৃহিত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছিলেন ম্যাডোনা হিলারি সহ হলিউডের শত শত নারী সেলিব্রেটি কেননা গর্ভপাত রিরোধি আইন যদি যুক্তরাষ্ট্রে পাশ হয় তাহলে তাদের সবার ক্যারিয়ার ই হুমকির মুখে পরবে।পশ্চিমা বিশ্বে কত কত জরিপ হয় কেন তাদের জনসংখ্যা বাড়ছে না, তারা এর পেছনে নানা খোরা যুক্তি দার করায় যে স্কুল কলেজের খরচ বৃদ্ধি, জীবন যাত্রার খরচ বহন করা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য, অর্থনৈতিক নানা সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদি।

জাপানের একটা এলাকায় স্হানীয় নির্বাচনে দুই দল প্রার্থি ভোটে দারিয়েছে। একজন ইশতিহারে ঘোষনা দিল যে, আমি পাশ করলে বাচ্চাদের জন্য স্কুল কলেজের ফি ফ্রি করে দিব। যার দুই বাচ্চা আছে তাকে প্রয়োজনে দিতীয় বাচ্চার জন্য এককালিন বাচ্চার মাকে টাকা দিব। সরকারি ভাবে অনেক ডে কেয়ার করে দিব। যাদের তিন বাচ্চা আছে তাদের মায়ের সম্পুর্ন আয়কর মওকুফ করে দিব। বাচ্চাদের জন্য আরও অনেক শিশুপার্ক নির্মান করব ইত্যাদি । সে নির্বাচনে নিশ্চিত ফেল করবে। এমনকি জামানত বাজেয়াপ্ত ও হতে পারে। কেননা এই প্রার্থিকে কে ভোট দিবে। ম্যাক্সিমাম ভোটার ই তো প্রবিন।


আর যে প্রার্থি বলবে যে আমি পাশ করলে জীবন রক্ষাকারি ডায়াবেটিস ক্যান্সার ওষুধের মুল্য কমাব, কিডনি ডায়ালাইসিস ফ্রি করে দিব।

বৃদ্ধ লোকদের বেশী বেশী করে পেনশন দিব। হাসপাতালের বেডের সংখ্যা বাড়াব। বিনা চিকিৎসায়, অযত্নে অবহেলায় কোন বৃদ্ধ যাতে মারা না যায়(প্যারালাইসিস রোগি, স্ট্রোক করা পেশেন্ট) সেই ব্যবস্থা করে দেব। বয়স্কদের জন্য পার্ক জগিং ট্র্যাক ইত্যাদির পেছনে দেশের মুল্যবান সম্পদ ব্যায় করব। সে নিশ্চিত পাস করবে। কেননা দেশের মুস্টিমেয় ভোটার রা তাই ই চায়।

এভাবে তারা এমন একটা ফাদে আটকা পরেছে যে সহসাই এর থেকে কোন পরিত্রান নাই। তাদের ধ্বংস অনিবার্য।

এমন কোন নেতা পশ্চিমা বিশ্বে আছে যে পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখার কথা বলবে।বহুগামি পুরুষদরেকে কে বোঝাবে যে স্ত্রীর প্রতি দায়িত্বশীল হও আর নিজের পরিবারকে ভালবাস। পশ্চিমা বিশ্বের একেকটা স্বাধীন নাড়ীকে কে বোঝাবে যে স্বামীভক্ত হও। তোমার দেহের তোমার ইজ্জতের একমাত্র হকদার তোমার স্বামী। আর তোমার ক্যারিয়ার নিয়ে আজ ব্যস্ত অথচ তোমার দেশ, তোমার শশুর শাশুরি সবাই আজ তোমার কাছ থেকে সন্তান চায়। চায় একটা সুখি পরিবার। তুমি সন্তানদের আদর করবে যত্ন করবে ভালবাসবে আর স্বামীর কাজ থেকে ফিরে আসবে সেই প্রতিক্ষায় প্রহর গুনবে। কিন্তু এরকমটা কথনো পশ্চিমা বিশ্বে হবে তা আশা করা যায় না। তাদের দর্শন এরকমটা তাদের মেয়েদের কে শিখায় না। কাজেই তারা আফ্রিকান আর এশিয়ান জাতি দ্বারা আস্তে আস্তে প্রতিস্হাপিত হবে এটাই সাভাবিক। আর এভাবেই পশ্চিমা সভ্যতা তাদের এত এত বুলি গনতন্ত্র সবই ধুলায় মিশে শেষ হয়ে যাবে সেদিন বেশী দুরে নয় যার নমুনা আমরা দেখতে শুরু করেছি। কানাডা প্রতি বছর আনুস্ঠানিক ভাবে ৪ লাখ করে লোক নিচ্ছে সম্মানের সহিত। আমেরিকা বারো পনেরো লাখ বা তারও বেশী লোক নিচ্ছে। জার্মান ইতালি ফ্রান্স ইংল্যান্ড তো আগের থেকে তাদের জনসংখ্যাকে প্রতিস্হাপিত করছে এশিয়া আফ্রিকার লোক দারা। এখন তাদের কাতারে আসতে শুরু করেছে স্পেন, নেদারল্যান্ড সুইডেন, ডেনমার্ক, পুর্তগাল ইত্যাদি।

অচিরেই দেখবেন যে চিন প্রতি বছর ৬০/৭০ লক্ষ লোক নিচ্ছে। তখন আমাদের দেশের জায়গা জমি আর ঢাকার শহরে বারিওয়ালাদের অবস্থা এখনকার থেকে আরও অনেক করুন হবে। কেননা কে থাকবে তখন বাংলাদেশে। গত ১০ বছরে ঢাকা শহরে ফ্ল্যাট ও বাসা ভাড়া

দু টাই কিন্তু কমেছে মুদ্রাস্ফিতি হিসাবে ধরলে।