১

আমি জানতাম আমার মাঝে অসুখটা আছে, তবু জেনে শুনেই রিনিকে বিয়ে করেছি। রিনি আমার ছোট বোনের বান্ধবী, বয়সে আমার চেয়ে ১২ বছরের ছোট। আমার বয়স এখন ৩৩ ওর ২১। আমি জানি ওর একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে, তবু আমি জেনেই বিয়ে করেছি। বিয়ের প্রথম রাতেই আমি বেশ স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছি, দেখো রিনি, তোমার অন্য কোন ছেলের সাথে যদি সম্পর্ক থেকে থাকে সেটা নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই। তবে সে সম্পর্ক ধরে নিবে আমার সাথে বিয়ের পরেই শেষ। আমার সাথে সংসার করে অন্য একটা ছেলের সাথে কথা বলবে, তার জন্য আবেগ পুষে রাখবে সেসব চলবে না। আমি কি কথাটা বুঝাতে পারলাম?

- জ্বি ভাইয়া।

- ভেরি গুড। আর আমি এখন আর তোমার বান্ধবীর বড় ভাই না, তোমার হাজবেন্ড। ভাইয়া ডাকার দরকার নেই। আমাকে তুমি করে ডাকবে, নাম ধরে ডাকবে, ঠিক আছে?

- আচ্ছা।

আমার সাথে রিনির প্রথম রাতেই কথা ছিল এমনই। রিনি আমার প্রতি একটা নেগেটিভ ধারণা নিয়ে নিয়েছিল প্রথম রাতেই। আমার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসার বিপরীতে জন্ম নিয়েছিল স্পষ্ট ঘৃণা, ভয়। আমি চাচ্ছিলামও ঠিক এমন কিছু। আমার রিনির ভালবাসা, শরীর কিছুই দরকার ছিল না। আমার শুধু রিনিকে বিয়ে করা দরকার ছিল। আমি তা করেছি।


রিনির যে ছেলেটার সাথে সম্পর্ক ওর নাম জামিল। রিনির ক্লাসমেট ভার্সিটির। সমবয়সী প্রেম। দেখলেই কেমন হাসি পায়। কত আবেগ, কত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, কত প্রেম, ভালবাসা আমার মত কেউ এসে হুট করেই ভেঙে দিয়ে যায়। এই যে জামিল ভালবাসা হারাল, আমার মত বয়স হলে আবার ঠিক অন্য কারও ভালবাসা হারাবার কারণ হবে। বেশ সেটা।

আমি জামিলকে খুব চোখে চোখে রাখছি। আমি জানি জামিলের আমার প্রতি একটা ক্ষোভ আছে, রিনির প্রতি আছে দুর্বলতা। খুব বোকা হলে রিনির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করবে নিজে থেকে, আর খুব ধুরন্ধর হলে, আমাকে সরিয়ে রিনিকে পাবার চেষ্টা করবে। জামিল ছেলেটাকে আমার বোকা লাগেনি, বরং বেশ চালাক লেগেছে। তাই ছেলেটা রিনির দিকে নজর না রেখে, রাখবে আমার দিকে। আমিই তাই নজর রেখে নিশ্চিত হচ্ছি, ও আমার দিকে নজর রাখছে কিনা?

আমি রিনিকে ভার্সিটিতে দিয়ে আসার সময় জামিলকে দেখি। জামিল আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে থাকে, রিনির চোখ ছলছল করে জামিলের দিকে তাকিয়ে। আমার মাঝে কোন অনুভূতি কাজ করে না। দুজন মানুষের ব্যথা কষ্টের বিনিময় আমাকে কেমন যেন আনন্দ দেয়। সে আনন্দও আমি লুকিয়ে রাখি, কাউকে দেখাই না।


রিনির ভার্সিটি ছুটি হবার বেশ আগেই চলে আসি, ভার্সিটির ভিতর হাঁটাহাঁটি করি। করিডোরে সতর্ক দৃষ্টি রাখি, দেখে নেবার চেষ্টা করি, রিনি আর জামিলকে একসাথে দেখা যায় কিনা। দেখা যায় না। জামিল ছেলেটা চালাক, নিজের আবেগ দমিয়ে, রিনির সাথে কথা বলা থেকে নিজেকে বিরত রাখছে। তবে ব্যাপারটা আমার জন্য উদ্দেকের।


- হ্যালো, রিনিকে খুঁজছেন বুঝি?

পিছন থেকে অকস্মাৎ ডাকে আমি কিছুটা চমকে উঠি। জামিলকে আমি এভাবে আশা করি নি। আমার পিছনে এসে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল। আমি আমার চমকে যাওয়া সামলে উত্তর দেই, হ্যাঁ, আপনি কি রিনির ক্লাসমেট?

বলে আমি হাত বাড়িয়ে দেই। জামিল অনিচ্ছা সত্ত্বেও হ্যান্ডশেক করে বলে, জ্বি, আমি জামিল। রিনির ক্লাসমেট।

- আচ্ছা আচ্ছা। আমি ভাবলাম আপনাদের ছুটি হয়ে গিয়েছে, তাই চলে আসলাম।

জামিল আলতো করে হাসে, কোন উত্তর দেয় না। জামিলের হাসি আমার অস্বস্তি হয়, জামিলের চুপচাপ আমার সামনে থেকে চলে যাওয়া কেমন যেন লাগে। রিনি চলে আসে খানিক পরেই। জামিল দূরে দাঁড়িয়ে রিনিকে দেখে। রিনিও আমাকে আড়াল করে আড় চোখে জামিলকে দেখে। আমি রিনির দিকে তাকাই না। এমন একটা ভান করি যেন আমি কিছুই দেখছি না।


সময় যত যায়, আমি বুঝতে পারি ব্যাপার গুলো তত জটিল হয়ে যাচ্ছে। জামিল কোনভাবেই রিনির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে না, দেখা সাক্ষাৎ কিংবা কথা বলারও প্রয়াস নিচ্ছে না। আমার কাছে ব্যাপার গুলো বড় দুশ্চিন্তার। এদিকে আমি রিনির কাছ থেকে দূরে সরতে গিয়ে অনেকটা বেশীই দূরে সরে এসেছি। আমরা এক বিছানায় ঘুমাই না। রিনি এক রুমে, আমি অন্য রুমে। আমাকে রিনি এখনও আপনি বলেই ডাকে, তুমি বলে না। রিনির কিছু দরকার হলেও আমাকে বলে না। শুধু মাঝে মাঝে খেতে বসলে একসাথে, আমি রিনিকে জিজ্ঞেস করি, তোমার কিছু দরকার হয় না? আমাকে কিছু বল না কেন?

রিনি মাথা নিচু করে থাকে, কিছু বলে না। আমি টেবিলের উপর টাকা রেখে বলি, তুমি তোমার মত খরচ কোরো।

রিনি তাও কিছু বলে না। আমি খাবার ছেড়ে উঠে যাই, অফিস যাই, ফিরে আসি। টাকা ওভাবেই পড়ে থাকে। আমি বুঝতে পারি, আমার চলাটা ভুল হচ্ছে। আমার একটু ভিন্নভাবে, অন্যভাবে আগাতে হবে।

আমি একদিন রাতের বেলা, রিনির পড়াশুনা করবার সময়, পাশে গিয়ে বসি। পড়তে থাকা বইয়ের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকি। বই থেকে রিনির মুখের দিকে তাকিয়ে বলি, এতো কঠিন পড়া বুঝতে পারো একা একা? হেল্প লাগেনা কারও?
- চেষ্টা করি।
- আচ্ছা, রিনি, তোমার ভার্সিটিতে ভাল কোন বন্ধু নেই? কারও সাথেই কথা বলতে দেখি না তোমাকে।
রিনি চুপ করে থাকে। আমি বলে যাই, আরে, আমার ভয়ে এখন যদি তুমি বন্ধু বান্ধবের সাথে মেশাও বন্ধ করে দাও, ব্যাপারটা কি ভাল দেখায়? নোহা আর তুমি সমবয়সী। নোহাকে আমি কখনও না করি না, কারও সাথে মেশার জন্য। বন্ধু থাকবে একটা মানুষের এটাই তো স্বাভাবিক। বরং না থাকাটাই, অস্বাভাবিক দেখায়।

নোহা আমার ছোট বোন, যশোর থাকে। রিনির সাথে বিয়ের দিনটায় পর্যন্ত আসে নি। আমার সাথে রিনির বিয়েটা ও মেনে নিতে পারে নি। রিনি আর জামিলের সম্পর্কের কথা নোহাও জানত। আমিও জানি। তবু ভান করে থাকি, কিছুই জানি না।
রিনির সাথে অনেক কথায় রিনিকে স্বীকার করাতে পারি, জামিল ওর বন্ধু। খুবই ভাল বন্ধু। আমি নিজেকে খুব উদারমনা প্রমাণের জন্য বলি, তোমার পড়াশুনায় হেল্প লাগলে মাঝে মাঝে জামিলকে আসতে বলতে পারো। একা একা সব পড়া বুঝতেও তো অসুবিধা। যে কোন সময়ে, বাসায় তোমার ফ্রেন্ডরা আসতে পারে, আমার এতে কোন না নেই।
আমি একটা টোপ দেই, টোপ গিলতে দুজনের সময় লাগে মাস দুয়েক। একদিন ঠিক রিনি জামিলকে নিয়ে এসে বাসায় এসে হাজির হয়, ভয়ে ভয়ে আমাকে বলে, ও জামিল। আমার ফ্রেন্ড।
আমি আমার শক্ত মুখটা নরম করে একটা আলতো হাসি দিয়ে, জামিলের দিকে হাত বাড়িয়ে দেই, আরে জামিল। কেমন আছেন? রিনি, এর সাথে তো আমার আগেও কথা হয়েছে তোমার ভার্সিটিতে। হ্যাঁ, জামিল, বসেন বসেন।

ব্যাপারটা স্বাভাবিক হয়ে যায় অল্প সময়ে। জামিলের আমার বাসায় চলাচলে আমার সাথে রিনি এবং জামিল দুজনেরই সম্পর্ক বেশ মধুর আর স্বাভাবিক হতে শুরু করে। আমরা মাঝে মাঝেই অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দেই। জামিল মাঝে মাঝেই রাতে আমাদের বাসায় থেকে যায়। যে রাতে জামিল আমাদের বাসায় থাকে, সে রাতে রিনি ইচ্ছা করেই আমার সাথে ঘুমায়। জামিলকে দেখাতে চায় না, আমরা যে আলাদা ঘুমাই। এদিক থেকে সব যখন স্বাভাবিক হয়ে আসে, আমার মনে তখনও দুশ্চিন্তা রিনির বড় ভাইকে নিয়ে। আমি তার সাথে এখনও স্বাভাবিক হতে পারি নি। তাকে দেখলে আমার ভয় করে। অবশ্য তাকে ভয় পাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। মতিউর হামজা, এলাকা না শুধু, দেশসুদ্ধ মানুষ তাকে চিনে। বিশাল প্রভাবশালী মানুষ, রাজনীতির সাথে জড়িত। একে ভয় পাব নাতো, কাকে পাবো? তবুও আমি চেষ্টা করি তার সাথে দেখা হলে, স্বাভাবিক আচরণ করবার। আমার হয় না। ওনার বাসায় যতবার রিনিকে নিয়ে আমি গিয়েছি, উনি আসলেই তড়িঘড়ি করে উঠে দাঁড়িয়েছি, সালাম দিয়ে মাথা নিচু করে হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। উনি সঠিক ভুল যাই বলেছেন, আমি তার সাথেই তাল মিলিয়ে বলে গিয়েছি, একদম ঠিক কথা। আপনার মত ভাই সবাই কেন যে ভাবতে পারে না।
আমার আচার আচরণে উনি হয়ত বুঝতে পারতেন, আমি ওনাকে ভয় পাই। একদিন উনি আমাকে বলেই দিলেন, নাহিদ, তুমি কি আমাকে ভয় পাও?
আমি আমতা আমতা করে জবাব দিয়েছি, না না, ভাই। কী যে বলেন আপনি? আপনাকে ভয় পাব কেন?
আমার অবস্থা দেখে ওনার স্ত্রী রেহনুমা মিটিমিটি হাসে। আমি আড় চোখে সে মিটিমিটি হাসি দেখি।

মতিউর হামজার সাথে আমার পরিচয়, আমার ফ্যাক্টরিতে তার ফ্যাক্টরির একটা সাব কন্ট্রাক্টের কাজ আসে। আমি অবশ্য ভাল দৌড়াদৌড়ি করেছি কাজটা পাবার জন্য। ওনার কাজ লসে করলেও লাভ। একটা ক্ষমতার ব্যাপার স্যাপার আছে। উনি যে টাকায় কাজ করাতে চেয়েছিলেন, আমি তাতেই রাজী ছিলাম। প্রতি কন্ট্রাক্টে উনি রেট কমালেন, আমি তাও কাজ করে দিলাম। ওনার কাছাকাছি আমার যাওয়া হল, বাড়িতে আসা যাওয়া চলতে থাকল। তার বোনের সাথে আমার বিয়ে হয়, আরও কাছাকাছি যাওয়া হয়। তবু তার সাথে আমার স্বাভাবিক হওয়া হয় না। আমি তার সামনে এখনও কাপাকাপি করি, একটা অস্থির ভাব থাকে। একটা সময় ওটাও আমি মানিয়ে নিব।

রিনি এখন আমাকে তুমি বলে ডাকে। আমাদের তিনজনের মাঝে মাঝেই আড্ডা জমে। জামিল ছেলেটার আমার প্রতি ক্ষোভ কমেছে কিনা জানি না। তবু জামিল আমার সাথে এখন বেশ স্বাভাবিকভাবে কথা বার্তা বলে। আজকের আড্ডায় আমি দুজনকেই বেশ চমকে দেই। আমি জানাই, আগামী মাসের ৩ তারিখ আমরা থাইল্যান্ড যাচ্ছি ঘুরতে। আমরা তিনজন। ভিসার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আমি দুজনকে খুব সুন্দর করে বর্ণনা দেই থাইল্যান্ডের সব কিছুর। আমি আগের বার যখন গিয়েছিলাম, তখন কোথায় কোথায় কীভাবে গিয়েছিলাম। তাও গল্প করি। ওদেরকে এই ব্যাপারটাও বলি, সেবার আমি মোটামুটি পালিয়ে গিয়েছিলাম থাইল্যান্ডে। ব্যবসায়িক একটা ঝামেলায়, মিথ্যা মামলা খেয়ে যাই। পুলিশ তখন আমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমি ঘুরে বেড়াচ্ছি থাইল্যান্ডে। এদিকটায় যখন ঝামেলা মিটে গেল, তখন আমি ফিরে এলাম। সেবার আমার ভাল মত ঘুরে বেড়ানো হয় নি, এবার তিনজন মিলে শান্তিতে ঘুরে বেড়ানো যাবে। রিনি এবং জামিল দুজনেই এ ব্যাপারে খুশি।

আমাকে যা করবার এই দিন গুলোর মাঝেই করতে হবে। ৩ তারিখ আসতে আরও দিন পনেরো বাকী। রিনি এর মাঝে যেদিন নিজের ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়, আমি তখন জামিলকে ডাকি আমার বাসায়। দুজন মিলে গল্প করার ইচ্ছে, আড্ডা দেয়ার ইচ্ছে। একটার পর একটা সিগারেট ধরাতে ধরাতে আমি জামিলকে বলি, জামিল, আমার মত দুর্ভাগা পৃথিবীতে খুব কমই আছে। আমি আমার জীবনে খুব করে চাওয়া কিছুই কখনও পাই নি।


সোফা ছেড়ে এসে রুম থেকে একটা পিস্তল নিয়ে গিয়ে জামিলের সামনে রাখি। জামিল চমকে যায়। আমি বলে যাই, এই যে পিস্তলটা দেখছ, এটা আমি সযত্নে রেখেছি, একজনকে খুন করবার জন্য। আমার সাহস হয় না, আমি পারি না। আমি প্রচন্ড ভীতূ একটা মানুষ। জামিল শুনছ তুমি?
জামিল ক্ষীণস্বরে জবাব দেয়, জ্বি ভাইয়া।
- আমি জানি তুমি আর রিনি দুজন দুজনকে ভালবাসো।
জামিল চোখ বড় করে তাকায় আমার দিকে। চমকে যায় কথাটা শুনে। আমি বলে যাই, আমার রিনিকে বিয়ে করার কোন ইচ্ছে ছিল না। রিনিরও ছিল না। রিনি তোমাকে পছন্দ করে। আমি রিনির সাথে বিয়ের পর এক বিছানায় পর্যন্ত শুই নি। আমিও একজনকে পছন্দ করতাম, তার সাথে আমার বিয়ে হয়নি। হল রিনির সাথে।
জামিল মুখ খুলে, অল্প করে বলে, তাহলে রিনিকে বিয়ে করলেন কেন?
- আমার কোন ইচ্ছে ছিল না। রিনির বড় ভাই মতিউর হামজা সাহেব কোনভাবে জেনে গিয়েছিলেন, তোমার আর রিনির সম্পর্কের কথা। তিনি তাড়াহুড়ায় আমার সাথে বিয়ে দিয়ে দিলেন। তার মুখের উপর না করার কোন সাধ্য আমার ছিল না। সে কেমন মানুষ তুমি জানো।
-হু।
- মাঝ থেকে কিছুই হল না। তুমি, আমি, রিনি আর ভালবাসার মানুষটা কষ্ট পেল। কেউ ই আমরা ভাল থাকলাম না। আমি রিনি দুজনেই চাই আমাদের সম্পর্কটা ভেঙে যাক। কিন্তু সম্পর্ক ভেঙে গেলে, মতিউর হামজা আমাকে আস্ত রাখবেন না।
জামিল মনযোগ সহকারে আমার কথা শুনে যায়। আমি বলে যাই। জামিলের মনের মাঝে কী চলে জানি না। আমার মনের মাঝে ভাললাগা গুলো, আস্তে আস্তে গেঁথে যায় ভাল করে, ধীরে ধীরে আমার দুরন্ত মস্তিষ্ক স্থির, সুস্থির হয়।