সুরা আনফালের ৬০, ৬৫ ও ৬৬ নাম্নার আয়াতে আল্লাহ পাক যুদ্ধের কিছু গাইডলাইন দিয়েছেন।
আর তাদের মুকাবিলার জন্য তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি ও অশ্ব বাহিনী প্রস্তুত কর, তা দ্বারা তোমরা ভয় দেখাবে আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুদেরকে এবং এরা ছাড়া অন্যদেরকেও, যাদেরকে তোমরা জান না, আল্লাহ তাদেরকে জানেন। আর তোমরা যা আল্লাহর রাস্তায় খরচ কর, তা তোমাদেরকে পরিপূর্ণ দেয়া হবে, আর তোমাদেরকে যুলম করা হবে না। আয়াত ৬০

হে নবী! আপনি মুমিনদেরকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করুন; তোমাদের মধ্যে বিশজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দু’শ জনের উপর বিজয়ী হবে এবং তোমাদের মধ্যে এক’শ জন থাকলে এক হাজার কাফিরের উপর বিজয়ী হবে। কারণ তারা এমন এক সম্প্রদায় যাদের বোধশক্তি নেই।
আয়াত ৬৫।
এখন আল্লাহ তোমাদের থেকে (দায়িত্বভার) হালকা করে দিয়েছেন এবং তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। অতএব যদি তোমাদের মধ্যে একশ’ জন ধৈর্যশীল থাকে, তারা দু’শ জনকে পরাস্ত করবে এবং যদি তোমাদের মধ্যে এক হাজার জন থাকে, তারা আল্লাহর হুকুমে দু’হাজার জনকে পরাস্ত করবে এবং আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।
আয়াত ৬৬।
৬৬ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেছেন কাফেরদের সামরিক শক্তি যদি তোমাদের দ্বিগুন ও থাকে তবুও তোমরা যদি অবিচল থাক জিহাদের ময়দান থেকে না পালাও তবে তোমরা ইমানদার হলে অর্থাৎ মুসলমান হলে যুদ্ধে জিতবে। এখন প্যালেস্টাইনিদের সামরিক শক্তি ইসরাইলের অর্ধেক বা দশ ভাগের এক ভাগ। আমার তো মনে হয় সারা বিশ্বের সকল মুসলিম দেশের সামরিক শক্তি এক করলেও ইসরাইলের ২০ ভাগের এক ভাগও হবে না। কারন গুলো হচ্ছে কোন মুসলিম দেশের কাছেই এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান নেই এমনকি তার্কির কাছেও নয়। আর আরব আমিরাত মিসর জর্দান কাতার ওমান সৌদির কাছে যতগুলো এফ-১৬ ফাইটার আছে তা আপডেটেড ভার্সন নয়। এদের রাডার সিস্টেম উড্ডয়ন কাল নেভিগেশন সিস্টেম প্রতিপক্ষকের শত্রু বিমান আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্হাকে অকার্যকর করা স্যাটেলাইট সাপোর্ট বোম্বিং ক্ষমতা কোনটাই ইসরাইল বা জার্মানির কাছে বিক্রি করা এফ-১৬ ফাইটার জেটের সমতুল্য নয়। আর ব্রিটিশদের কাছে আমেরিকার এফ -১৬ বিক্রি করা সেগুলো সরাসরি আমেরিকার আকাশ প্রতিরক্ষা ইলেকট্রনিক ওয়ার যদ্ধের জন্য যতটা কার্যকর তা মধ্যপ্রাচ্য বা পাকিস্তান তুরস্কর কাছে এফ -১৬ যেগুলো আছে তা ইসরাইল ও ইউরোপের এফ-১৬ এর ধারে কাছেও নয়। শর্ত আরও আছে তা হল আমেরিকা যে যুদ্ধ বিমানগুলো মুসলিম দেশের কাছে বিক্রি করেছে তা ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে না। শর্ত ভংগ করলে বিমান গুলো আর উরবে না। কেন উরবে না তা আর বললাম না। আর কোন মুসলিম দেশের কাছে বি -৫২ বোম্বার নেই। কিন্তু ইসরাইলের কাছে কতগুলো আছে তা কে জানে। কাজেই এখন আশাকরি বুঝতে পেরেছেন যে কেন আরবদেশগুলো চুপ মুখে কুলুপ। তারা আসলে অথর্ব মানে তাদের সামরিক শক্তি বলতে আমরা যা দেখি যেমন সৌদি আমেরিকার অস্ত্রের সবথেকে বড় ক্রেতা তা আসলে কোন কাজের নয়। হুথিদের কাছেই তা অকার্যকর প্রমানিত হয়েছে। এখন সকল মুসলিম দেশ যদি ইসরাইলে হামলা চালায় আর ১৫ দিনের মধ্যেই যদি ইসরাইল যদ্ধে জিতে আরও তেলক্ষেত্র গুলো দখল করে মুসলিম নারীদের কে ইহুদিদের দাশি বানায় এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই।
অনেকেই বলে যে আমাদের ঈমান দুর্বল তাই আর একতা নেই তাই আমরা মার খাচ্ছি পৃথিবীর সব জায়গায়। আপনিও কি তাই মনে করেন। তাহলে দেখে নিন আল্লাহ ৬৬ নাম্বার আয়াতে কি বলেছেন। যদি আমাদের আল্লাহর শত্রুদের তুলনায় অর্ধেক শক্তিও থাকত তাহলেও আমরা এভাবে মার খেতাম না। আর আল্লাহ জানেন আমাদের দুর্বলতাটা কি আর আল্লাহ আমাদের দায়ত্বভার হালকা করে দিয়েছেন। কাজেই আমরা ‍ জাতি হিসাবে ২০২৪ সালে এসে সাহাবায়েকেরামদের মত ইমানদার হতে পারব না। আখেরী জামানায় আমাদের ইমান হবে খুবই দুর্বল ইমান নিয়ে চলা আরও মুশকিল এখন আমাদের কে সুরা আনফালের ৬০ নাম্বার আয়াতের উপর আমল করতে হবে যদি আমরা সম্মান নিয়ে বাচতে চাই। জিনিষটা হচ্ছে অনেকটা এরকম তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা থেকে আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্হা আরও উন্নত করতে হবে। এটা করতে হলে আমাদের নিজস্ব সিস্টেম উন্নত করতে হবে। তারা আমাদের কাছে কি ধরনের আকাশ প্রতিরক্ষা বিক্রি করবে তা উপরের আলোচনা থেকে আশাকরি বুঝতে বাকি নাই। কাজেই আমাদের সাইন্স এন্ড টেকনোলজিতে বিনিয়োগ গবেষনা করতে হবে। এমনভাবে আমাদের হাইপারসনিক মিসাইল ডেভেলপ করতে হবে যাতে আল্লাহর শত্রুরা ভয় পায়। তারা যদি পারমানবিক বোমা বানায় আমাদের বানাতে হবে হাইড্রোজেন বোমা তারা হাইড্রোজেন বোম বানাইলে আমাদের কি বানাতে হবে যাতে করে তারা ভয় পায় মুসলমানদের কে তা নিয়ে আমাদের বিস্তর গবেষনা করতে হবে। আর গবেষনা করার সময় বের করতে হলে যা জোরে আমিন আস্তে আমিন হাত বুকের উপরে বাধা আর নাভীর নিচে বাধা নিয়ে বাহাস করে তাদের কে বয়কট করতে হবে। আমাদের সন্তানদের এমন মাদ্রাসায় দিতে হবে যেখানে তারা কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি রোবটিক্স, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ফিজিক্স ম্যাথ কেমিস্ট্রি এসব শিখবে। বড় বড় বিজ্ঞানি হবে। তারা মান্না সালাওতের ব্যাখ্যা দিবে না যে আল্লাহ বনী ইসরাইলদের কে মান্না সালাওয়াত খাইয়েছে তাই তাদের বুদ্ধি বেশী। আপনি জানেন কি কউমি মাদ্রাসায় পড়ুয়া বড় বড় আলেম মুফতি মুহাদ্দিস গন জ্যামেতি ত্রিকোনমিতি এলজেবরা পারে না। তারা শায়খুল হাদিস হয়। অথচ রাসুল সাল্লেল্লাহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসের বই গুলো পুড়িয়ে ফেলতে বলেছেন। ওমর রাজিঃ খেলাফত কালে যদি কেউ হাদিস লিখে রাখত তার বিরুদ্ধে তলোয়ার নিয়ে যাইতেন কত বড় সাহস কোরআনের বাইরেও আরেকটি ধর্মীয় কিতাব। আমি আমার চোখে অনেক হাফেজ দেখেছি যারা কোরআন বুঝে পড়ে না। বুঝতে চেস্টাও করে না।

চলবে...... 


ছবিঃ গুগল